হজরত ইবনে আব্বাস (রা.)-এর সূত্রে নবী করিম (সা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রোগমুক্তি তিনটি জিনিসের মধ্যে নিহিত। এগুলো হলো- শিঙা লাগানো, মধু পান করা এবং আগুন দিয়ে গরম দাগ দেওয়া। তবে আমি আমার উম্মতকে আগুন দিয়ে গরম দাগ দিতে নিষেধ করি।’ –সহিহ বোখারি: ৫৬৮১

কি???? হিজামাতে 'সত্যিকার অর্থে' কোন রক্ত বের হয়না???

 - জ্বি!! ঠিক শুনেছেন!! মাথা ঠান্ডা রেখেই বলছিরে ভাই !!

আসুন পরিষ্কারভাবে একটা ব্যাপার বুঝি।
রক্ত মানে কি?
রক্ত = পানি (প্লাজমা)+ রক্ত কণিকা
আমরা যখন রক্ত দেই তখন রক্ত নেয়া হয় শিরা(Vein)র ভেতরে সরাসরি সিরিঞ্জ ঢুকিয়ে। এতে রক্তের পানির(প্লাজমা) মত অংশ এবং সেই সাথে সরাসরি কোটি কোটি রক্ত কনিকা বের হয়।
শরীর থেকে যত লোহিত রক্তকনিকা ( RBC) বের হয় রক্তে হিমোগ্লোবিন তত কমে। সেটা যে কারনেই হোক না কেন! এই যেমন ধরেন অপারেশন,এক্সিডেন্ট এরকম কিছু !! তখন যে অবস্থা দাঁড়ায় তার নাম এনিমিয়া (Anaemia)! আর সেটা আমাদের দূর্বল করে।
এখন বলেন! হিজামার রক্তটা আসে কোত্থেকে?
-ঠিক বলেছেন!
হিজামার রক্ত কিন্তু শিরা (Vein) থেকে আসেনা। আসে আরো সূক্ষ্ম রক্তনালী থেকে যার নাম Dermal Capillary! যা জালির মত আমাদের সারা শরীরের চামড়ার দ্বিতীয় লেয়ারে ছড়ানো আছে!
এসব রক্তনালীগুলোর মধ্যে আবার হাজার হাজার ফুটা থাকে।চা ছাঁকার ছাঁকনি দেখেছেন তো নিশ্চয়ই? তাইনা?অনেক টা সেরকম।
আচ্ছা! ছাঁকনি দিয়ে কি চা পাতা গুলো পড়ে যায়? কেন পড়ে না?
জ্বি ঠিক ধরেছেন! কারণ চা পাতাগুলোর সাইজ ছাঁকনির ফুটাগুলো থেকে বড়!!
আমাদের স্কিন এর ক্যাপিলারির ছিদ্রগুলো ১২ ন্যানোমিটার সাইজের। তাহলে খেয়াল করুন, ১২ ন্যানোমিটার এর চেয়ে ছোট যে কোন জিনিস এই ছিদ্র দিয়ে কি বের হবে? হবে না কিন্তু !!
লোহিত রক্ত কনিকা বা RBC, শ্বেত রক্ত কনিকা বা WBC, অনুচক্রিকা বা Platelets এর সাইজ জানেন? এখানেই তো মজার বিষয়। এগুলোর সাইজ ন্যানোমিটার রেঞ্জেই নেই। বরং, এর চেয়ে অনেক বড়!!! মাইক্রোমিটার ডায়ামিটার এ। এজন্য এগুলো এই Dermal Capillaryর ছিদ্র দিয়ে সাধারণ হিসেব মতে বের হতে পারে না!!
কিন্তু, তাহলে হিজামার রক্ত দেখতে তো আসল রক্তের মতই লাগে। সেটা কি করে ব্যখ্যা করবেন?
মজার বিষয় শেষ হয়নি এখনো!! বাকি আছে আরেকটু!
খেয়াল করেছেন তো আমরা হাতে একটা প্লাঞ্জার দিয়ে কাপের ভেতরে পাম্প করি।
আমাদের শরীরের ছাঁকন যন্ত্রের নাম কি? কিডনি!!
কিডনী রক্ত কিভাবে ছাঁকে? ছাঁকে এভাবে যে,কিডনীতে নিজস্ব একটা ফিল্ট্রেশন প্রেসার প্রাকৃতিকভাবে তৈরি। যা ঠেলে সব রক্ত Glomerulous নামক এর জালির মত রক্তনালী ( স্কিন এর জালিটার কাছাকাছি দেখতে) তে নিয়ে ফেলে!
হিজামাতে একই ফিল্ট্রেশন প্রেশার তৈরির কাজটাই কৃত্রিম ভাবে হাতে করা হচ্ছে!! রিসার্চ করে জানা গেছে এই পাম্প কিডনীর ফিল্ট্রেশন এর চেয়ে ১৬ থেকে ৪৩ গুণ বেশি শক্তিশালী ফিল্ট্রেশন প্রেশার তৈরি করতে সক্ষম!!
তাতে লাভ টা কি হয় ???
হাতেগোনা অল্প কিছু লোহিত রক্ত কণিকা এই প্রচন্ড টানের জন্যে ক্যাপিলারির ছিদ্র দিয়ে বের হতে চায়! আর তখনই ভেঙে যায়! এই লোহিত রক্ত কনিকাগুলো ভেঙে যাবার সাথে সাথে ভেতরের হিমোগ্লোবিন কাপ ব্লাড এর প্লাজমার সাথে মিশে।
আর জানেন ই তো! রক্ত লাল হয় কেন? হিমোগ্লোবিনের জন্য।
এজন্যেই আপনি কাপে জমা অধিকাংশ 'শুধু প্লাজমা' কে খাঁটি রক্তকণিকাসহ রক্ত ভেবে ভুল করেন অথবা মিথ্যা প্রচারণার স্বীকার হন।
রোগের জন্যে দায়ী Causative Pathologic Substance গুলো প্লাজমাতে থাকে , রক্ত কনিকার ভেতরে না!
হিজামা শেষে যেই সামান্য প্লাজমা বের হয় তাতে দূর্বলতার এজন্যেই কোন সুযোগ নেই!
মজার একটা উদাহরণ দিয়ে শেষ করি!
আচ্ছা হজ্জ একটা পরিশ্রমের কাজ?রোযা রাখাও? ঠিক??
আপনি নিশ্চয় শুনেছেন রাসূল সা: হাজ্জ্বের ইহরাম বাঁধা অবস্থায় হিজামা করেছেন! রোযা রেখে হিজামা করেছেন তাইনা??
দূর্বল হবার ভয় থাকলে কি রাসূল সা: তাঁর উম্মতের সামনে এই উদাহরণ দুটো রাখতেন?
হিজামা কি আর সুন্নাহ হোত???
হিজামা সুস্থতার সুন্নাহ পথ। হিজামা নিন, সুস্থ থাকুন। হিজামা নিতে চাইলে যোগাযোগ করুন:

ঠিকানা : নতুন বুধপাড়া, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রেললাইন সংলগ্ন
যোগাযোগ :০১৯২৬৯৯৪১৮৮
০১৭৪৬৭৩৪৬২৩

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.