চাঁদ এবং হিজামা সুন্নতি তারিখে হিজামা করার উপকারিতা
চাঁদ এবং হিজামা
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম পূর্ণিমার পর থেকে অর্থাৎ চন্দ্র মাসের 17 তারিখ থেকে "হিজামা" করতে বলেছেন। তারে কথা নিশ্চয়ই রহস্য বিহীন কোন কথা নয়। তাহলে আসুন জেনে নিই কি সেই রহস্য?
আমরা জানি, পৃথিবীর ওপর চাঁদের এক বিশেষ আকর্ষণ বল রয়েছে। যদিও চাঁদের ব্যাস মাত্র 3478 কিলোমিটার এবং এর ভর পৃথিবীর ভোরের আশি ভাগের এক ভাগ মাত্র তবে চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যকার দূরত্ব খুব বেশি নয় (3,85,000 কি.মি.)।
এই স্বল্প দূরত্বের কারণে পৃথিবীর সমুদ্ররাজির উপর চাঁদের গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণ বল রয়েছে। যার ফলে সমুদ্রের জলরাশি ফুলে ওঠে এবং জোয়ার সৃষ্টি হয় অন্যদিকে ভূ-পৃষ্ঠও এই আকর্ষণ বল থেকে মুক্ত নয়।
চাঁদ যখন এর কক্ষপথের মধ্যে আকাশে অবস্থান করে, তখন উত্তর আমেরিকার ভ-ূভাগ প্রায় 15 সেন্টিমিটারের মতো উত্থিত হয। আরও লক্ষণীয় যে, পূর্ণিমার সময় বড় বড় গাছের তরুক্ষীর( কষ) নির্গত হওয়া বেড়ে যায়।
দু'জন ফরাসি বিজ্ঞানী 'জুবেট এবং গেলিয়েহ ডি ফনড' পর্যবেক্ষণ করেছেন যে, পূর্ণিমার সময় প্রাণীদের মধ্যে কর্মচঞ্চলতা, যৌন প্রবৃত্তি, ডিম প্রদান এবং বংশবিস্তার ও সমাহার বৃদ্ধি পায়। কেননা চাঁদের আকর্ষণী প্রভাব পূর্ণিমার রাতে সবচাইতে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়। সর্ব শ্রেষ্ঠ জীব মানুষও চাঁদের আকর্ষণ থেকে মুক্ত নয়। এই সময় মানুষের রক্তচাপ এবং প্রবাহের গতি বৃদ্ধি পায়। সেইসাথে যৌনানুভূতি প্রবল হয়। অবাক বিষয় হচ্ছে, এ রাতে কোন কোন দেশে অপরাধ ও সংঘাত তুলনামূলক বৃদ্ধি পেয়ে থাকে শুল্ক পক্ষের প্রথম দিন থেকে।
শুল্কপক্ষের প্রথমদিন থেকে রক্তের প্রবাহ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং 15 তম দিনে সর্বোচ্চ গতি লাভ করে। এই প্রবাহের মাধ্যমে রক্তের ক্ষয়প্রাপ্ত কোষসমূহ বা রক্তের বিভিন্ন বিষাক্তদ্রব্যাদি যা রক্তনালী ও কৈশিক জালিকা সমূহে জমা হয়েছিল সেগুলোকে আলোড়িত করে।
অন্যদিকে পূর্ণিমার পর থেকে 17 থেকে 18 তারিখ পর্যন্ত উক্ত ক্ষয়প্রাপ্ত কোষ ও দূষিতদ্রব্যাদি শরীরের তুলনামূলক শান্ত স্থানসমূহে বিশেষ করে কাঁধের অংশে অর্থাৎ দুই স্ক্যাপুলার মধ্যবর্তী অংশে জমতে থাকে। ফলে এই সময়ে হিজামা করলে রক্তের বিষাক্ত দ্রব্যাদি সহজেই শরীর থেকে দূরীভূত হয।
আরো স্মরণ রাখতে হবে হিজামা ভোরবেলা করাই ভালো কেননা এ সময় ত্বকের ওপর চাঁদের বিশেষ গুরুত্ব লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও মানুষ যখন সকালে ঘুম থেকে ওঠে, তখন তার শরীর দীর্ঘ সময় জন্য বিশ্রাম প্রাপ্ত হয়। বিশ্রামরত অবস্থায় রক্তপ্রবাহ তুলনামূলক স্থিতিশীল থাকে।
অন্যদিকে সকালে সূর্য উদয় হলেও চন্দ্র তখনো আকাশে থাকে। তাই সকালে চাঁদের আকর্ষণী প্রভাবও কিছুক্ষণ বিদ্যমান থাকে। কাজে এই সময় হিজামা করা খুবই উপকারী।
কারণ চাঁদের বিদ্যমান স্বল্পমাত্রার আকর্ষণীয় প্রভাবে রক্তের দূষিতদ্রব্যাদি টিস্যুর গভীর থেকে উপরিভাগে এবং উপরিভাগ থেকে হিজামা কাপের ঊর্ধ্বমুখী
চাপপ্রাপ্ত স্থানে সহজেই উঠে আসতে পারে।
আর যদি চন্দ্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে 13 14 15 তারিখ হিজামা করা হয,তাহলে চাঁদের প্রবল আকর্ষণে রক্তের নবীন কোষসমূহ রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে আসবে। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
এজন্য মহান রাব্বুল আলামিন শ্রেষ্ঠমানব মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে আমাদেরকে চন্দ্র মাসের মধ্যেসময়ের পর হিজামা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
কারণ মহান রব তার বান্দার সামান্য ক্ষতিও পছন্দ করেন না। এর মাধ্যমে আমাদের রব আমাদের কি পরিমান ভালবাসেন তাও স্পষ্ট বোঝা গেলো।
অপরদিকে মাসের শুরুর দিকে রক্তের দূষিত পদার্থ আলোড়িত হয়ে শরীরের শান্ত অংশে জমা হয় অংশ না বিধায় তখনো হিজামা করা খুব বেশি উপকারী নয়।
উপযুক্ত আলোচনা হতে 'চাঁদের সাথে এবং দিনের প্রারম্ভে ' "হিজামা"এর উপকারিতা জানা গেলো।
------------------------------------------------------
১। হিজামার ১ ঘণ্টা পর গোসল করা উত্তম, অন্যথায়, শরীর খারাপ হতে পারে।
২। ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত কোন ব্যয়াম এবং স্ত্রী সহবাস করা যাবেনা।
৩। ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত লম্বা সফর করা যাবেনা।
৪। ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত কোন গরম সেক ইত্যাদি দেয়া যাবে না।
পুরুষ_রোগীদের_জন্য_পুরুষ_থেরাপিস্ট_আছেন।
ঠিকানা : নতুন বুধপাড়া, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রেললাইন সংলগ্ন
যোগাযোগ :০১৯২৬৯৯৪১৮৮
০১৭৪৬৭৩৪৬২৩
কোন মন্তব্য নেই