#হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপের সর্বাধুনিক ও সর্বোচ্চ কার্যকর চিকিৎসা হচ্ছে হিজামা !!
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, গরম বৃদ্ধি পেলে হিজামার সাহায্য নাও, কারন কারো রক্তচাপ বৃদ্ধি পেলে তার মৃত্যু হতে পারে । (আল হাকিম, হাদিস নং-৭৪৮২)
রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, কেহ হিজামা করতে চাইলে সে যেন আরবি মাসের ১৭,১৯,২১ তম দিনকে নির্বাচন করে, রক্ত চাপের কারনে তোমাদের কারো যেন মৃত্যু না হয় সেদিকে লক্ষ রাখবে । ( সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং-৩৪৮৬)
উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বা হাই প্রেশারের জন্যে সর্বাধুনিক ও সবচেয়ে কার্যকর ট্রিটমেন্ট হচ্ছে হিজামা । হিজামার মাধ্যমে আপনি বেশ সাচ্ছন্দ্যে এই মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে অনায়াশে মুক্তি পেতে পারেন ।
হিজামা এমন এক চিকিৎসা পদ্ধতি, যার কোন প্রকার সাইড ইফেক্ট নেই, এর জন্যে কোন মেডিসিন নিতে হয়না বরং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রথম সেশন বা প্রথমবার হিজামা করার পরই উপকৃত হবেন । এবং পর পর তিনটি সেশন নিলেই এই মহা স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে মুক্ত হতে পারবেন । আমরা সকলে জানি হাই প্রেশার মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ায় । তাই খুব একটা দেরি না করে আমাদের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ ।
এবার আসুন সংক্ষেপে যেনে নেয়া যাক হাই প্রেশার বা হাইপারটেনশন সম্পর্কে জরুরী কিছু কথা
* রক্তচাপ বেড়ে যাওয়াকেই উচ্চ রক্তচাপ বলা হয় । একেবারে সাধারণ ভাষায় যদি আমরা বিষয়টির ব্যাখ্যা করি তাহলে এটাই বলতে হয় । রক্তচাপের স্বাভাবিক একটি মাত্রা রয়েছে । সিস্টোলিক বা উপরেরটাকে ১২০/১৩০ হলে স্বাভাবিক বলা হয় । এর উপর যদি উঠে যায়, একে বলা হয় উচ্চ রক্তচাপ বা সিস্টোলিক হাইপার টেনশন । তেমনিভাবে ডায়াস্টোলিক যদি নব্বইয়ের ওপর উঠে যায়, তাহলে একে বলা হয়, ডায়াস্টোলিক হাইপার টেনশন । একজন মানুষের দুটোই বেড়ে যেতে পারে । অথবা যেকোনো একটি বেড়ে যেতে পারে । যেকোনো ক্ষেত্রেই এটিকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বলা হয়।
শতকরা ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার বেলায় সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না । এমনিতেই বেড়ে যায় । এই দলকে বলা হয় এসেনশিয়াল হাইপার টেনশন বা প্রাইমারি হাইপার টেনশনের রোগী । আর পাঁচ ভাগ রোগীর বেলায় কিছু কিছু অসুখ খুঁজে পাওয়া যায়, যার কারণে উচ্চ রক্তচাপ তৈর হয়েছে । যেমন : কিডনির দুর্বলতা, কিডনির কোনো অসুখ ।
হরমোনজনিত কোনো অসুখ যদি হয়, গর্ভাবস্থায় কারো কারো উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায় । কিছু কিছু ওষুধ রয়েছে যার কারণে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে । কোয়ার্কটেশন অব অ্যায়োটা বলে হার্টের একটি রোগ রয়েছে, যার কারণে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে ।
যে ৯৫ ভাগ রোগীর বেলায় হাইপার টেনশন হয়, সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে না পাওয়া গেলেও, তাদের বেলায় বেশ কিছু ঝুঁকির কারণ পাওয়া যায় । যেমন তাদের ওজন কিংবা তাদের খাদ্যাভ্যাসের জন্য যে অনিয়ম, অতিরিক্ত ধূমপান করা, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা এগুলো কারণে হতে পারে । বয়সের সাথে এটি অনেক সময় সম্পর্কযুক্ত- ইত্যাদি ঝুঁকির কারণ পাওয়া যায় । এগুলো উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার পেছনে সম্ভাব্য ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয় ।
বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই উচ্চ রক্তচাপের তেমন কোন লক্ষণ থাকে না । আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন কিন্তু তারা নিজেরা সেটা জানেন না । বেশিরভাগ সময় দেখা যায় অন্য কোনো রোগের জন্য চিকিৎসা নিতে গিয়ে অথবা দীর্ঘদিনের উচ্চ রক্তচাপ থেকে কোন একটা জটিল বা খারাপ কিছু হবার পরেই ধরা পড়ে এই উচ্চ রক্তচাপের ব্যাপারটা । এজন্য একে 'নীরব ঘাতক' বলা হয়ে থাকে । অনেকের ক্ষেত্রে অবশ্য মাথা ব্যাথা বা ভার লাগা, শরীর খারাপ লাগা ইত্যাদি দেখা যায় । এক অর্থে তাদের ভাগ্য ভাল, কারণ তাদের ক্ষেত্রে প্রথম দিকেই রোগটা ধরা পড়ে ।
রক্তচাপ অনেক বেশি বেড়ে গেলে আরও কিছু লক্ষণ দেখা যেতে পারে, যেমন- মাথা ব্যাথার পাশাপাশি চোখে ব্যাথা বা ঝাপসা দেখা, নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া অথবা নাক দিয়ে রক্ত পড়া । একে ম্যালিগন্যান্ট হাইপারটেনশন বলে । সেক্ষেত্রে দেরী না করে কোন হিজামা থেরাপিস্ট দেখিয়ে হিজামা করাবেন । ইনশাআল্লাহ অনেক ফায়দা পাবেন।
ঠিকানা : নতুন বুধপাড়া, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রেললাইন সংলগ্ন
যোগাযোগ :০১৯২৬৯৯৪১৮৮
০১৭৪৬৭৩৪৬২৩
কোন মন্তব্য নেই